Wednesday 15 January 2014

জানার বাকি অনেক কিছু!! উপন্যাস পড়ার বিজ্ঞান ভিত্তিক উপকারিতা। উপন্যাস পাগলদের জন্য।

 

কিভাবে একটা বই তোমার জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারেঃ

দিনের পর দিন বই পড়া মস্তিস্কের কার্যকলাপকে আরও উন্নত করে

অনেক মানুষই দাবি করেছে যে তাদের জীবন পরিবর্তন হয়েছে একটা বিশেষ বই পড়ে।কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছে যে একটা উপন্যাস উপভোগ করে পড়লে মস্তিষ্কের বাস্তব, পরিমেয় পরিবর্তন তৈরি করতে পারে। আমেরিকান গবেষকরা গল্প পড়ার সাথে মস্তিস্কের নেটওয়ার্ক বা স্নায়ুর সংযুক্তিটা সনাক্ত করতে FMRI স্ক্যানার ব্যবহার করেছেন এবং কিছুদিন একটা দুর্দান্ত গল্পের বই পড়ার পর মস্তিস্কের কিছু পরিবর্তন খুঁজে পেয়েছেন।কিভাবে গল্পগুলো মানুষের মস্তিস্কের ভিতর প্রবেশ করে তার রহস্যের জট খুলতে তারা যাত্রা শুরু করেছে এবং সাহিত্যের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবটা খুঁজেছে। যুক্তরাষ্টের এমরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলেছেন উপন্যাস পড়লে মস্তিস্কের বিশ্রাম অংশের পরিবর্তন সৃষ্টি করতে পারে যা কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।‘ গল্পের গঠন আমাদের জীবন এবং কিছু ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে নির্ধারণ করে গড়ে উঠে’ বলেছেন প্রধান লেখক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোপলেছি সেন্টারের পরিচালক জনাব গ্রেগরি বারন্স।তিনি আরও বলেছেন ‘আমরা বুজতে চাই কিভাবে গল্পগুলো তোমার মস্তিস্কে প্রবেশ করে এবং তারা ঐখানে কি করে’।
গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে ‘ব্রেইন কানেক্টিভিটি’ নামক একটা সাময়িকীতে, আর কিভাবে মস্তিস্কের নেটওয়ার্ক জড়িত থাকে গল্প পড়ার সময় তা দেখার জন্য বিজ্ঞানিরা FMRI স্ক্যানার ব্যবহার করেছেন।মোট ১২ জন ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে এই পরীক্ষাটা করা হয় যা একনাগাড়ে ১৯ দিনেরও বেশি সময় ধরে পরিচালিত হয়েছিল এবং তাদের পড়তে দেয়া হয়েছিল একই উপন্যাস যার নাম ‘পম্পেই’ যা রবার্ট হেরিসের একটা রোমাঞ্চকর উপন্যাস যা প্রাচীন ইতালির মাউন্ট ভেসুভিয়াস এর অগ্ন্যুত্পাতের ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা।এই উপন্যাসটা মনোনীত করা হয়েছে এর টানটান উত্তেজনাপূর্ণ কাহিনীর জন্য যা পম্পেই নগরীর বাইরের নায়ক বা প্রধান চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে যিনি অগ্ন্যুত্পাতের লক্ষণ দেখে ঐ শহরে অনেক কষ্ট করে ফিরে যান তার ভালবাসার মানুষটিকে বাঁচানোর জন্য।অধ্যাপক বারন্স বলেন ‘এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে এই বইটাতে একটা বলিষ্ঠ কাহিনী ছিল’।যখন পূর্বের বেশিরভাগ গবেষণাগুলো ফোকাস করেছিল জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াকে যখন মানুষ FMRI স্ক্যানারের ভিতর গল্প পড়তেছে আর এই গবেষণাটা প্রাথমিকভাবে সম্পর্কযুক্ত ছিল বই পড়ার পর তার প্রভাবের সাথে।
পরীক্ষাটায় ছাত্রছাত্রীদের মস্তিস্কের বিশ্রাম অংশকে প্রথম পাঁচ দিন প্রতি সকালে স্ক্যান করা হয়েছিল।
তারপর তাদেরকে বইটার ৯টা অধ্যায় ৯ দিনের জন্য দেয়া হল এবং বলা হল প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রতি অধ্যায়ের ৩০ পাতা করে পড়ার জন্য।
তারপর তারা পরদিন সকালে ল্যাবে আসলো এবং তাদের মস্তিস্কের অপঠিত অংশকে স্ক্যান করা হল FMRI স্ক্যানার দ্বারা এবং পরে একটা প্রশ্ন উত্তর পর্ব করা হল নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে তারা ঐ অধ্যায়টা পড়েছে কিনা।
উপন্যাসটির ৯ টি অধ্যায় শেষ করার পর অংশগ্রহণকারীদের ৫ দিন সকালে তাদের মস্তিস্কের বিশ্রাম অংশকে স্ক্যান করা হয়েছিল।
এই পরিক্ষায় আশানুরূপ ফল পাওয়া গিয়াছিল এবং ফলাফলে দেখা যায় মস্তিস্কের বাম টেম্পোরাল কর্টেক্স যা মস্তিস্কের ভাষাগত দক্ষতা নিয়ন্ত্রণ করে তার সাথে স্নায়ুর যোগাযোগের ব্যাপক মাত্রায় উন্নতি সাধন হয়।
‘ যদিও অংশগ্রহণকারীরা প্রকৃতপক্ষে স্ক্যানারের ভিতর থাকা কালীন সময়ে পড়তেছিল না তবুও তারা এই উন্নত যোগাযোগটা ধরে রেখেছিল’ বলেছেন অধ্যাপক বারন্স।
তিনি আরও যোগ করেন ‘ আমরা এটাকে ‘ছায়া কার্যকলাপ’ বলতে পারি যা প্রায় পেশী সৃতির মতো’।
উন্নত যোগাযোগটা আরও দেখা যায় মস্তিস্কের সেন্ট্রাল সাল্কাসে যা মস্তিস্কের প্রাইমারী সেন্সরি মোটর অঞ্চল নামে পরিচিত।






ছবিঃ FMRI স্ক্যান করা মস্তিস্কের ছবি। উপন্যাস পড়ার পর মস্তিস্কের স্নায়ুর যে পরিবর্তন হয় তা দেখানো হয়েছে।
এই অঞ্চলের স্নায়ু গুলো সংযুক্ত হয়ে শরীরে সংবেদন তৈরি করে সুতরাং শুধুমাত্র চলমান সম্পর্কে চিন্তা করে উদাহরনস্বরূপ  চলমান শারীরিক কাজকে সক্রিয় করতে পারা যায় স্নায়ু সংযুক্তির মাধ্যমে।
‘স্নায়ুর যে পরিবর্তন আমরা খুঁজে পায়েছি তা শারীরিক সংবেদন এবং চলাফেরার পদ্ধতির সাথে সংযুক্ত যা থেকে ধারনা করা যায় যে উপন্যাস পড়ার সময় তোমাকে প্রধান চরিত্র বা নায়কের শরীরের ভিতর পরিবহন করাইতে পারে’, বলেছেন অধ্যাপক বারন্স।
আমরা ইতিমধ্যে জানি যে ভাল গল্প প্রতীকী অর্থে তোমাকে কারো জুতর ভিতরও রাখতে পারে।আমরা এখন দেখতেছি যে কিছু ঘটনা জীববিজ্ঞানিকভাবে ঘতে।
তিনি আরও দাবি করেছেন যে এই স্নায়ুবিক পরিবর্তনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হয় না এটা উপন্যাস পড়ার পর ৫ দিনের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।
অধ্যাপক বারন্স বলেন,’ এই স্নায়ুবিক পরিবর্তন কতদিন থাকে তার উত্তর অনিশ্চিত’।
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা এই যে আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি কিছু দিন একটা প্রিয় উপন্যাস পড়লে তা অবশ্যই তোমার মস্তিস্কে বড় এবং দীর্ঘস্থায়ী জৈব প্রভাব ফেলবে।
*তাই বেশি বেশি ভাল ভাল বই পড়ুন আর মস্তিস্কের উন্নতি সাধন করুন। *
সবাইকে ধন্যবাদ।

 

যারা পেনড্রাইভ কিনতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস যারা পেনড্রাইভ কিনতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

 

 

আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে আজকের টিউন শুরু করছি। কেমন আছেন সবাই ? আমি ভালই আছি । আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পেনড্রাইভ সম্পর্কিত কিছু প্রয়োজনীয় টিপস।

ব্যস্ত জীবনের সারাক্ষণের সঙ্গী হচ্ছে পেনড্রাইভ। ডাটা আদান প্রদানে সবচেয়ে হালকা এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম পেনড্রাইভ। যদিও আমাদের অনেকের কাছেই পেনড্রাইভ আছে। কিন্তু তারপরও যারা পেনড্রাইভ খুঁজছেন তাদের জন্য কিছু টিপস:
আপনার কাজের চাহিদার উপর ভিত্তি করে পেনড্রাইভের মেমরি সাইজ ঠিক করতে হবে। যদি আপনার অনেক বেশী ডাটা নিয়ে চলাচল করতে হয় তবে আপনার জন্য বাজারে রয়েছে ৩২ গিগাবাইট থেকে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত পেনড্রাইভ।
ডাটা ট্রান্সফার স্পীড একটি জরুরী বিষয়। বাজারে এখন ইউএসবি ৩.০ জেনারেশন এর পেন ড্রাইভ পাওয়া যায়। যার দাম একটু বেশী এবং সর্বোচ্চ ৪.৮ গিগাবিট পার সেকেন্ড স্পীডে ডাটা আদান প্রদান করতে পারে। কিন্তু ইউএসবি ৩.০ জেনারেশন পেনড্রাইভ সমর্থন করে এমন ল্যাপটপ/ডেস্কটপ খুব কম। বাজারে সবচেয়ে প্রচলিত ইউএসবি ২.০ জেনারেশন এর পেনড্রাইভ।
কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি যেই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন সেটা আপনার পেনড্রাইভ সমর্থন করবে কিনা। সাধারণত সব পেনড্রাইভ মাইক্রোসফট এক্সপি এবং এর পরের উইন্ডোজ ভার্সন গুলো সমর্থন করে। তবে আপনি যদি লিনাক্স কিংবা ম্যাক ইউজার হন সেক্ষেত্রে কনফার্ম হয়ে কিনবেন।
অনেকেই ব্র্যান্ডের পেনড্রাইভ খুঁজে থাকেন। বাজারে Transcend, Apacer, A-Data, Kingston ব্র্যান্ডের পেনড্রাইভ সবচেয়ে বেশী চলছে। অনেক সময় দেখা যায় নিম্নমানের চাইনিজ ব্র্যান্ডের পেন ড্রাইভ ঠিকমত ডাটা স্টোর করে রাখতে পারে না। ওয়ারেন্টি দেখে পছন্দের ব্র্যান্ডের মধ্যে সিলেক্ট করে নিতে পারেন আপনার পেনড্রাইভটি।
বাজারে সাধারণত ৪ গিগাবাইটের পেনড্রাইভ ৪০০-৫৫০ টাকার মধ্যে পাবেন। ৮ গিগাবাইটের পেনড্রাইভের দাম পড়বে ৫০০-৬৫০ এর মধ্যে। যারা একটু বেশী মেমরি সাইজের পেনড্রাইভের ডাটা খুঁজছেন তারা ১০০০ টাকায় ১৬ গিগা বাইটের পেনড্রাইভ পেয়ে যাবেন।
পড়ালেখা হোক আর অফিস এর কাজেই হোক, একটি পেনড্রাইভ দৈনন্দিন কাজের জন্য অনেক উপকারী। তাই দেখে শুনে বুঝে কিনুন আপনার পছন্দের পেনড্রাইভ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।